মনির খাঁন, মুরাদনগর উপজেলা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নিখোঁজ হওয়ার ৬দিন পর ডোবা থেকে হেলাল উদ্দিন(২২) নামের এক সিএনজি চালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে
সোমবার বিকেলে উপজেলার নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের নিউ থ্রী-ষ্টার ব্রিকস্ ফিল্ডের পাশের একটি ডোবা থেকে এই অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
নিহত হেলাল উদ্দিন উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে।
গ্রফতারকৃতরা হলেন উপজেলার নবীপুর (পশ্চিম) ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২২) ও একই গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে সুজন ওরফে রহিম (২১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে নবীপুর এলাকার নিউ থ্রী-ষ্টার ব্রিকস্ ফিল্ডের শ্রমিকরা ভাটায় কাজ করতে গিয়ে পাশের ডোবায় লাশ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে মুরাদনগর থানার পুুলিশের উপ-পরির্দশক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ডোবা থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের চাচা সবুজ মিয়া জানান, গত ১২ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেলে ভাতিজা হেলাল উদ্দিন নবীপুর দক্ষিনপাড়া তার বোনের বাড়ী থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে বের হয়। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না এলে আমরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও কোন সন্ধান পাইনি। বিকেলে আমার ভাতিজার গলাকাটা অর্ধগলিত লাশ ডোবা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। আমি হেলাল হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, লাশের গলায় এবং পেটে ধারালো ছুরির আঘাত রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত সিএনজি চালক হেলাল উদ্দিনের বড় ভাই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করেছে। সোমবার রাতে অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় ৪ ও ৫ নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে কি কারনে এই হত্যাকান্ড হয়েছে। বুধবার গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। বাকি আসামীদেরকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page